কয়রা উপজেলা প্রতিনিধিঃ
খুলনা জেলার কয়রা থানার জিআর ৪৬/২৫ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ রাজেত আলী কর্তৃক মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে জোড়শিং (পাতাখালী) গ্রামের মৃত জেহের আলী মল্লিকের পুত্র মোঃ আব্দুল কাদের মল্লিক। রবিবার সকাল ১১ ঘটিকায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এমন অভিযোগ তুলে ধরেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য এ বলেন স্থানীয় জাহাঙ্গীর হোসেন, আল আমিন, মাকছু মল্লিক, নুরুল্লাহ মল্লিক, অজিয়ার মল্লিক, দেলোয়ার মল্লিকসহ অন্যান্যরা পূর্ব শত্রুতার জেরে গত ইং ২১ মার্চ ২০২৫ তারিখে বিবাদীগণ বেআইনি জনতাবদ্ধে অনধিকার প্রবেশ করতঃ হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করিয়া রক্তাক্ত জখম, চুরি, শ্লীলতাহানি, জীবন নাশের হুমকিসহ ও কোপাইয়া আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের হাড়ভাঙ্গা ও মাথা কাটা ফাটা , আঘাতের ফলে ৬ টা দাত ভেঙ্গে পড়ে যাওয়া সহ গুরুত্বর জখম হয়। উক্ত ঘটনায় আমিসহ আমার পরিবারের কয়েকজন মারাত্মক/গুরুত্বর আহত হইলে জায়গীর মহল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা গ্রহন করি, পরবর্তীতে আমার পুত্র জাহিদুলের অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করে। যাহার কারণে আমার স্ত্রী বাদী হইয়া কয়রা থানায় একটি মামলা দায়ের করে যাহার নম্বর জিআর-৪৭/২৫।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন উপরোক্ত বিবাদীগণ মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে আমার ও আমার পুত্রদের বিরুদ্ধে কয়রা থানায় একটি মামলা করে যাহার নম্বর জিআর ৪৬/২৫। উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে মামলাটি তদন্ত করেন এসআই রাজেত আলী। উক্ত মামলায় এজাহারের বর্ণনা মতে ও জায়গীরমহল হাসপাতালের মেডিকেল সার্টিফিকেট অনুযায়ী ৩২৬ ধারা না থাকিলেও এসআই রাজেত আলী উপরোক্ত বিবাদীদের নিকট থেকে বড় অঙ্কের ঘুষ গ্রহন করিয়া তাদের দ্বারা প্রভাবিত হইয়া আমার ও আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কয়রা থানার এসআই মোঃ রাজেত আলী আমার প্রতিপক্ষের দ্বারা বায়াসড/প্রভাবিত হইয়া হাসপাতালের মেডিকেল সার্টিফিকেট উপেক্ষা করে যে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন, তাহা একেবারে অসত্য ও যোগসাজসি হইতেছে। জায়গীর মহল হাসপাতালের মেডিকেল সার্টিফিকেটে মন্তব্য কলামে সিম্পল ইন নেচার উল্লেখ থাকলেও উক্ত তদন্তকারী কর্মকর্তা উক্ত মামলার আসামীদের দ্বারা প্রভাবিত হইয়া যোগসাজসি প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। যাহার দরুন আমি/আমরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। এই ব্যাপারে প্রশাসনসহ সকলের কাছে ন্যায় বিচার চাই।